নিউজ ডেস্ক :গুরুতর অপরাধের শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট। এর ফলে মৃত্যুর সাজা থেকে রেহাই পেতে চলেছেন ১ হাজার ৩০০’র বেশি কয়েদি। দেশটিতে ২০১৮ সাল থেকেই অবশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে। খবর বিবিসির।
মালয়েশীয় পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে দেশটিতে হত্যা, সন্ত্রাসসহ গুরুতর ১১টি অপরাধে বাধ্যতামূলক শাস্তি হিসেবে আর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না। তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষমতা রাখা হয়েছে বিচারকদের কাছে।
আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য মালয়েশীয় আদালত এখন ৪০ বছর পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা বেত মারার মতো শারীরিক শাস্তির পক্ষে থাকবে।
সোমবার পার্লামেন্টে বক্তৃতায় মালয়েশিয়ার উপ-আইনমন্ত্রী বলেছেন, সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) অপরিবর্তনীয় এবং এটি অপরাধ কমাতে তেমন ভূমিকা রাখেনি। রামকরপাল সিং বলেন, মৃত্যুদণ্ড যে ফলাফল আনার কথা ছিল, তা আনতে পারেনি।
মৃত্যুদণ্ড বাতিলের সিদ্ধান্তটি কার্যকরে এখন মালয়েশীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের অনুমোদন লাগবে। তবে সেখানেও এটি ব্যাপক ভোটে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন আইন পাস হলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ৯০ দিনের মধ্যে তাদের সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। দেশটিতে বর্তমানে এ ধরনের ১ হাজার ৩৪১ জন কয়েদি রয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় ৩৪টি ফৌজদারি অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এর মধ্যে ১১টির সাজা হিসেবে এতদিন বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।
দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত জুনে। ওই সময় বাধ্যতামূলক শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের ঘোষণা দেয় প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের অধীনে মালয়েশিয়ার সাবেক সরকার।
বর্তমানে বিশ্বের যে ৫৩টি দেশে এখনো মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, তার মধ্যে একটি মালয়েশিয়া। অঞ্চলটির অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন ও সিঙ্গাপুর।
সরকারি তথ্যমতে, মালয়েশিয়ায় ১৯৯২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩১৮ বন্দিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply