বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, উভয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বক্তৃতায় মডেল কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের কয়েকদিন পর বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও কংগ্রেসকে নোটিশ পাঠিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। খবর এনডিটিভির।
বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে নির্বাচনী প্যানেল।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নোটিশেই রাহুল গান্ধী কিংবা নরেন্দ্র মোদি, মূল অভিযুক্ত দুজনের কারো নামই উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও, প্রতিটি নোটিশে প্রতিদ্বন্দ্বীর অভিযোগের কপি ছিল।
এবারই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে দলীয় কর্তাদেরকে প্রচারণার ভাষণে লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৭৭ ধারার অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জারি করা দুই পৃষ্ঠার বিবৃতিতে, ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) ঘোষণা করেছে, ‘তারকা প্রচারক’ (মোদি ও রাহুলকে) উচ্চতর মানের বক্তৃতায় অবদান রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের এসমস্ত বক্তৃতা কখনো কখনো বিকৃত হয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার উত্তাপ ছড়াতে পারে।
ইসিআই বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রার্থীদের সাধারণভাবে এবং বিশেষ করে তারকা প্রচারকদের আচরণের জন্য প্রাথমিক ও ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব নিতে হবে। উচ্চ পদে অধিষ্ঠিতদের প্রচারাভিযানের বক্তৃতা আরও গুরুতর পরিণতির কারণ হতে পারে।
সূত্রগুলি এই নির্বাচনের শুরুতে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে ও বিজেপির দিলীপ ঘোষের সীমালঙ্ঘনের দিকেও ইঙ্গিত করেছে। এ ক্ষেত্রেও বিজেপি ও কংগ্রেস প্রধানদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস গত সপ্তায় রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় মোদির বক্তৃতা সম্পর্কে অভিযোগ করেছে। বক্তৃতায় মুসলমানদের উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, বিরোধী দল অনুপ্রবেশকারীদের কাছে সম্পদ পুনঃবন্টন করার পরিকল্পনা করছে।
মোদি কংগ্রেসের ইশতেহারকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, দলটির মধ্যে মুসলিম লীগের ছাপ রয়েছে। যতটুক অবশিষ্ট আছে তাতে সম্পূর্ণরূপে বামপন্থীদের আধিপত্য।
১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে, চলবে ১ জুন পর্যন্ত মোট ৪৪ দিন। ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply