অনলাইন ডেস্কঃ
গ্যাস সংকটে পোশাক কারখানায় উৎপাদন তলানিতে বিগত কয়েকমাস ধরে গ্যাস সংকটের কারণে বেকায়দায় পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানার মালিকরা। আগে দিনের কিছুসময় গ্যাস পেলেও সংসদ নির্বাচনের পর থেকে গ্যাস সরবরাহ যেন একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতি পোষাতে না পেরে মালিকরা কতদিন কারখানা চালু রাখবেন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যেকোনো সময় কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শিল্প-কারখানার প্রায় তিন লাখ শ্রমিক চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন।

কারখানার মালিকরা বলেন নারায়ণগঞ্জে গ্যাসনির্ভর ছয় শতাধিক শিল্প-কারখানা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেক কারখানা নির্বাচনের কারণে পণ্য রপ্তানি করতে পারেনি। ওদিকে জানুযারি মাসের বেতন দেওয়ার সময় চলে আসছে। একইসঙ্গে বেতন বাড়ানোর চাপও রয়েছে। এ অবস্থায় কারখানা বন্ধ করে দিতে পারেন মালিকরা।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিকেএমইএ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বহুবার গ্যাসের সমস্যা চেষ্টা করেও দূর করতে পারছি না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় তিন লাখ শ্রমিক বিপদগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি ডিসেম্বর মাসের বেতনগুলো তাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা এক্সপোর্ট করতে পারিনি। আমরা আমাদের মালগুলো নির্দিষ্ট সময়ে তৈরি করতে পারিনি। তার ওপর নির্বাচন ছিল, এখন আবার জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার সময় চলে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ওপর প্রেশার আসছে বেতনটা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এই বেতনটা আমরা কোথা থেকে দেবো? আমরা এগ্রি করেছিলাম গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে, বাড়লে কোনো আপত্তি থাকবে না যদি নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাই। আমরা বিদ্যুৎটা যদিও একটু ঠিকমতো পাচ্ছি কিন্তু গ্যাসের ব্যাপারে আমরা একেবারে হতাশ হয়ে গেছি।

গ্যাস সংকট প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা গ্যাস সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন গ্যাসের সংকট দূর হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করবো যেন অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়।