বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমত গড়ে তোলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা। এরপর পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, পরিশেষে বিশ্ব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকগন। তাই শিক্ষকের কাছে আমাদের ঋণ অনন্তকালের। এ ঋণ কখনও শোধ হবার নয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) উপজেলার ঢাকা চন্দ্রগাঁথি এলাকার বেলগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রিয় শিক্ষক সন্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথাগুলো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও বরেন্দ্র বিশ্ব-বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা । তিনি বলেন, জীবিত ও মৃত শিক্ষকদের সন্মাননায় আজকের এই আয়োজন, জীবিত শিক্ষকদের শিক্ষাদানে আরো অনুপ্রানিত করবে সেই সাথে মৃত শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যগন গর্ব অনুভব করবেন। তাদের যে সম্মাননা দেওয়া হলো, এগুলো দেখে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উজ্জীবিত হবে। আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রানিত করবে। তারা বুঝতে শিখবে, শিক্ষকের কাছে আমাদের ঋণ অনন্তকালের। তাঁদের অপরিশোধ্য ভলোবাসার প্রতিদান শোধ হবার নয়।
মঙ্গলবার বিকেলে বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের বেলগাছি ঢাকা চন্দ্রগাথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির মাঠে এর আয়োজন করেন। বিদ্যালয়ের জমিদাতা, প্রতিষ্ঠাকালিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক (মরণোত্তর ও জীবিত) ও অতিথিদের সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন তারা।
বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুর সভাপতিত্বে
ও রাজশাহী বেতারের উপস্থাপক, নাট্যশিল্পী প্রতিবেদক, সংবাদ পাঠক এবং রেডিও পদ্মার উপস্থাপক শহীদুল ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. আবদুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, শাহদৌলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, রাজশাহী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মানিক ও
বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী প্রমুখ।
সন্মাননা অনুষ্ঠানে অন্যান্নদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অ্যাড. ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস, ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
শিক্ষকের পাশাপাশি
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জমি,মেধা, শ্রম, সময়, এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় ।
জমি দান করেছে তাদের মধ্যে মরহুম আবদুল জলিল, মরহুম জমির উদ্দিন, মরহুম আবদুর রহমান, মরহুম আবুল হোসেন। মেধা, শ্রম, সময়, এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন মরহুম আব্দুর রাজ্জাক সরকার, মরহুম আব্দুল জুব্বার প্রামানিক, মরহুম আবুল কাশেম, মরহুম আবুল হাশেম, মরহুম আব্দুস ছামাদ, মরহুম আজিমুদ্দিন প্রামানিক, মরহুম জুমন সরকার, মরহুম আলাউদ্দীন মেম্বর, মরহুম মজির উদ্দিন ফকির, মরহুম জনাব আলী, মরহুম কলিমুদ্দিন, মরহুম খোরসেদ মন্ডল, মরহুম মোল্লা প্রামানিক, আজাহার আলী, মরহুম তৈয়ব প্রামানিক, মরহুম মসলেম উদ্দিন প্রামানিক, মরহুম আজগর আলী, মরহুম হায়দার আলী, মরহুম নুর আলী, মরহুম জমসেদ প্রমানিক, মরহুম আবদুর রশিদ খোকা প্রামানিক, মরহুম মোজাফফর হোসেন, মরহুম রসুল প্রামানিক কে।
বিদ্যালয়ে কর্মরত মরণোত্তর ও জীবিত শিক্ষকদের সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়- মুহাঃ আবুল হাসেম (জীবিত), আমজাদ হোসেন (মরণোত্তর), শওকত আলী (জীবিত), রোকেয়া বেগম (জীবিত), নির্মল কুমার পান্ডে (মরণোত্তর), শাহজাহান আলী (মরণোত্তর), মরহুম আবু তাহের (মরণোত্তর), আরজেত আলী (বীর মুক্তিযোদ্ধা), আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), মরহুম নওফেল উদ্দিন (মরণোত্তর), আব্দুল কুদ্দুস (জীবিত), সুলতান আহম্মেদ (জীবিত), মরহুম বজলুর রহমান ও মরহুম নিজাম উদ্দিনকে। মরণোত্তর সন্মননা ক্রেষ্ট গ্রহন করেন শিক্ষকদের স্ত্রী-সন্তান।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply