অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘আপনারা যে যেখানে আছেন বেরিয়ে পড়ুন, ভয় করবেন না। কতলোক মারতে চায়, আমরা দেখতে চাই কতলোক মারতে পারে। আমরাযেকোনো ধরনের ঝুঁকি নিয়ে ২ তারিখের প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
আজ শুক্রবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘গতকাল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র জনতার নামে কিছু মানুষ এসে হামলার চেষ্টা করে। কর্মীরা তাদের প্রতিহত করে। পরে রাজু ভাস্কর্য থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারা নাগরিক কমিটির সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছেন।’
জিএম কাদের আরও বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। এই বক্তব্যের কোন জাস্টিফিকেশান নেই। এ কারণে আমরা গুরুত্ব দেইনি। এখন বড়সড়োভাবে এই প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দোসর! কীভাবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনার সরকারে আমি মন্ত্রী ছিলাম। তাই বলে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগীদার হবো কেন? সেই সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘তখন এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে আমি যে সঠিক ছিলাম তা উঠে এসেছিল। যার কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে দেয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোষর অপবাদ দিয়ে বড় ষড়যন্ত্র চলছে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে। আমরা বিগত সরকারের সঙ্গে কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।’
বৃহস্পতিবার রাতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপর সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, শেরিফা কাদের, আলমগীর শিকদার লোটন প্রমুখ।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply