অনলাইন ডেস্কঃ
অবৈধভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বিগত তিন নির্বাচন আয়োজন করার অভিযোগে চট্টগ্রামে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক সিইসি কাজী রাকিবুদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনার ও সচিব, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এই মামলাটি করেন চট্টগ্রামে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। এ সময় আদালত সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে মামলা তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদকে। এরপর পর্যায়ক্রমে ওই নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা চার নির্বাচন কমিশনার ছাড়া ২০১৮ সালে ও ২০২৪ সালে দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আইয়ালসহ কমিশনের সচিব ও অন্য সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে গত তিন মেয়াদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ২০১৪, ‘১৮ ও ‘২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কফিল উদ্দিন আরও বলেন, এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব নির্বাচনে সংসদ সদস্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারাও অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করায় তাঁদেরও এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।