অনলাইন ডেস্ক: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহিদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের মিন্টো রোড গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সাবেক এই দুই আইজিপিকে আজ বুধবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। দুই সাবেক আইজিপির গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক আমাদের সময়কে বলেন, দুই সাবেক আইজিপিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বুধবার ব্রিফ করে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে। ঢাকার
কোন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুধবার এ বিষয়ে জানানো হবে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শহিদুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে। সাবেক এই পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে পৃথক ২টি মামলা হয়েছে রাজধানীর পল্টন থানায়। অন্যদিকে সাবেক আইজিপি শহিদুল হকের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর। তারা এতদিন পলাতক ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে বেশির ভাগ মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা করলে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারের পর ঢাকা সেনানিবাসে নেওয়া হয়। এর দুদিন পরই সরকার তার (মামুন) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে নতুন আইজিপি নিয়োগ দেয়।
এদিকে মিন্টো রোড গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়ার পর চৌধুরী মামুনকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। চৌধুরী মামুন গুলি চালানোর দায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ওপর দিয়েছেন। নিজের কী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল ছিল বা দায় ছিলÑ এ ব্যাপারেও মুখ খুলেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গতকাল রাত ১টার দিকে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় জানা যায়, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
সূত্র: আমাদের সময়