অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের শনিবার রাতে কর্তব্যরত এক পুলিশ কনস্টেবলের গুলিতে অপর এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। সে সময় কনস্টেবলের গুলিতে জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও গুলিবিদ্ধ হন।
এতে দেখা গেছে, সময় শনিবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিট। কনস্টেবল মনিরুল ডিউটি নোটবুক নিয়ে দূতাবাসের সামনে পায়চারী করছেন। কাউসারের দিকে নোটবুকটি নিয়ে এগিয়ে গেলে কাউসার গুলি করেন মনিরুলকে।
গুলিবিদ্ধ মনিরুল ফুটপাত থেকে সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যান। এরপর কাওসার তার কাছে এসে আরও গুলি চালান। দূতাবাস এলাকায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত, জাপান দূতাবাসের গাড়িচালকসহ গুলিবিদ্ধ ২
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গুলিবিদ্ধ মনিরুলের শরীর স্থবির হয়ে গেলে, কাউসার মনিরুলের বন্দুকটি নিয়ে কাছাকাছি ঘোরাফেরা করতে থাকেন।
সেসময় ঘটনাস্থলেই মনিরুল মারা যান।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের সঙ্গে অপর কনস্টেবল কাউসার আলীর মধ্যে ঝগড়ার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে গুলির ঘটনা ঘটে।
কাউসারের গুলিতে রাস্তায় পড়ে যান কনস্টেবল মনিরুল। সেসময় গুলিবিদ্ধ মনিরুলের হাতে ডিউটি নোটবুক ছিল।
কাউসারের গুলিতে সেসময় ওই এলাকা দিয়ে সাইকেলে করে যাওয়ার সময় অপর একটি দূতাবাসের গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন। ওই গাড়িচালককে পরে গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কনস্টেবল কাউসারকে রাতেই আটক করে পুলিশ।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে তাতে দেখা গেছে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে গুলি চালানো হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামীম বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ কাল রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, এক পুলিশ সদস্য গুলিতে মারা গেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা এসেছি, খতিয়ে দেখছি।
রাতে গুলির শব্দ শুনে ফিলিস্তিন দূতাবাসে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীরা বাইরে বের হয়ে আসেন।
তারা জানান, অন্তত চার-পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ তারা শুনছেন।
গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, ফিলিস্তিন দূতাবাসের উত্তর পাশের গার্ডরুমে কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হয়েছেন।