অনলাইন ডেস্কঃ নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ২৩৩টি আসন পেয়েছে। আগের বারের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। জাতীয় রাজনীতিতে পুনরুত্থান হয়েছে দলটির।
তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন।
কংগ্রেসের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সরকার গঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, বুধবার জোটের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে জেডিইউ নেতা খালিদ আনোয়ার রাজনৈতিক জল্পনা উসকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, নীতিশ কুমারের চেয়ে ভালো আর কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন?
তিনি আরো লেখেন, ‘নীতিশজী দেশকে বোঝেন। আমরা জানি কিভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মান করতে হয়।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয়। এই মুহূর্তে আমরা এনডিএ জোটে আছি, কিন্তু আগেও এবং এখনো মানুষ নীতিশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
তবে ইন্ডিয়া জোটের অপর দুই শরিক আরজেডি ও আম আদমি পার্টির বক্তব্যও লক্ষণীয়।
আরজেডি নেতা মনোজ ঝা বলেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে।
যদি চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি ও জেডিইউকে কিছুটা আলাদা করে দেওয়া যায়, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই নেই। সেই ‘৪০০ পার’ করার বেলুন ফেটে গেছে।
আম আদমি পার্টির নেতা গোপাল রাই সংবাদ সম্মেলন করে চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমারকে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
রাতে বিজেপির সদর দপ্তরে ভাষণ দেওয়ার সময় যতই নরেন্দ্র মোদি বারবার ‘এনডিএ’র সরকার গঠনের কথা বলুন, সবার নজর এখন নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর ওপরেই।’ কারণ তারা দুজনই কিন্তু জোটসঙ্গী আর রাজনৈতিক কৌশল বদলানোর জন্য সুপরিচিত।
বুধবার দুই জোটেরই বৈঠক রয়েছে। রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করে সরকার গঠনের জন্য কোন জোট কী সিদ্ধান্ত নেয়, এ দুই বৈঠকের পরেই তা স্পষ্ট হবে।
সূত্র : বিবিসি
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply