জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় টাকা পয়সা লেনদেনও আক্কেলপুর উপজেলায় পারিবারিক কলোহের জেরে ২ জন নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া গ্রামে স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে হত্যা করে পালিয়েছে রুবেল হোসেন নামে এক পাষন্ড ঘর জামাই। নিহতরা হলেন – রুবেলের স্ত্রী মৌ আক্তার মিতু (২৫) ও তাঁর খালা আলেয়া বেগম (৬৫)।
সৌদি প্রবাসী শ্বাশুরীর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চেয়ে না পেয়ে স্ত্রী ও খালা শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েযান রুবেল। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলেয়া বেগম সেখানেই মারা যান। আর মিতুকে বগুড়া নেওয়ার পথে পথিমধ্যেই মারা যান।
এ ঘটনায় রুবেলের শ্যালক নীরব বোন ও খালাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তারাও আহত হন।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন বলেন, স্ত্রী ও খালা শাশুড়ীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর ঘাতক জামাতা রুবেল হোসেন পালিয়েছে। পুলিশ তাঁকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে।
অন্যদিকে, চাকুরীর জন্য তদবিরের টাকা ফেরত না দেওয়ায় বেধড়ক মারপিটে আহত তদবিরকারী মারা গেছেন। নিহত আব্দুল মজিদ বুলু ( ৪৫) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বৃদ্দীগ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। সোমবার দুপুরে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অভিযোগের সুত্র ধরে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, আব্দুল মজিদ বুলু চাকুরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছুদিন আগে তার ভাতিজী জামাই সদর উপজেলার চক বরকত গ্রামের খাইরুল ইসলামের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেন। পরে চাকুরি দিতে না পারায় চাচা শশুর বুলুর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান খাইরুল ।
এ নিয়ে গতকাল রোববার বিকেলে বুলুকে জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ী স্কুল এলাকায় ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে খাইরুল সহ তার সহযোগীরা। পরে আহত বুলুকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি সহ আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।