1. admin@doinikajkerkhabor.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাঘায় নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন ‎ চেয়ারম্যান থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান পাকিস্তানকে উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন সংস্কারে প্রস্তাবনা জমা ‌দিয়েছে বিএনপি স্ত্রীর শাড়ি ছুড়ে ফেলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান রিজভীর বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর ৫ বছরে ৫ কোটি গাছ লাগাতে চান তারেক রহমান মানুষ এখন অনেক সচেতন, সামনে নির্বাচন এত সহজ হবে না: তারেক রহমান আড়ানী স্টেশন এলাকার রেলওয়ের সম্পত্তিতে থাকা দোকান উচ্ছেদ

এমপি আনোয়ারুল আজীম হত্যা: লাশ নেই, মৃত্যু সনদও নেই, অপেক্ষা করতে হবে ৭ বছর

দৈনিক আজকের খবর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪

অনলাইন ডেস্কঃ চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের লাশ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। কয়েকদিন ধরে ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের লাগাতার সন্ধানেও খোজ মেলেনি লাশের একটি টুকরারও।

এমন পরিস্থিতিতে এমপি আনারের মৃত দেহ যদি না পাওয়া যায় তাহলে মৃত্যু সনদ কবে মিলবে এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চার দিকে। আর মৃত দেহ না পাওয়া গেলে ঝিনাইদহ-৪ আসনের উপ-নির্বাচনই বা অনুষ্ঠিত হবে কিভাবে?

রোববার (২৬ মে) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নর্থ ইস্ট নিউজের ‘No body, No Death Certificate’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এইসব বিষয় তুলে ধরা হয়।

নর্থ ইস্ট নিউজের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতায় ‘খুন হওয়া’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে গত ১৩ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই লাশ হয়তো আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবে না।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মৃত দেহ পাওয়া না গেলে এমপি আনারের কোন ধরনের ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যু সনদ জারি করা যাবে না। আর তেমনটি হলে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচন অন্তত সাত বছরের জন্য অসম্ভব হয়ে যাবে।

নর্থইস্ট নিউজ বলছে, এমপি আনারের লাশ বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাওয়া না গেলে ময়নাতদন্ত করা যাবে না, যার অর্থ হলো, তার আত্মীয়দের কাছেও মৃত্যু সনদ হস্তান্তর করা যাবে না। উপরন্তু, ডেথ সার্টিফিকেট বা মৃত্যু সনদ জারি করার আগে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডিকে কমপক্ষে সাত বছর অপেক্ষা করতে হবে।

নর্থ ইস্ট নিউজের সাথে কথা বলার সময় কলকাতার প্রবীণ অ্যাডভোকেট নবকুমার ঘোষ বলেছেন, মৃত কোনও ব্যক্তির লাশ পাওয়া না গেলে মৃত্যু সনদ জারি করতে সাত বছর সময় লাগতে পারে। এটাই প্রতিষ্ঠিত আইন। সাত বছরের অপেক্ষা বাধ্যতামূলক। লাশ নেই, মৃত্যু সনদও নেই।

প্রবীণ এই আইনজীবি আরও বলেন, সাত বছর পার হওয়ার পর সিআইডির কাছে খোলা একমাত্র যে পথটি থাকবে তা হলো, ভারতীয় সংবিধানের ২২৬ ধারার অধীনে কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা।

অ্যাডভোকেট নবকুমার ঘোষ বলছেন, এরপর উচ্চ আদালত প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে। সেই তদন্ত শেষ হলে, উচ্চ আদালত আদেশ জারি করতে পারেন যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু সনদের সমতুল্য হবে।

প্রবীণ এই আইনজীবী আরও বলেন, এই পদক্ষেপটির পর ভারতের জাতীয় সংবাদপত্র এবং দূরদর্শন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন জারি করতে হবে। সেখানে ঘোষণা করা হবে, আনারকে আর কখনোই পাওয়া যাবে না।

নর্থ ইস্ট নিউজের দাবি, তাদের প্রতিবেদনটিতে সিআইডি-বাংলাদেশ ডিবির মামলায় অনেক ত্রুটি এবং অসঙ্গতি প্রকাশ করা হয়েছে। হত্যাকারীদের বর্ণনায় বেশ কিছু ফাঁক রয়েছে এবং স্পষ্ট এসব ফাঁক থেকে উদ্ভূত প্রশ্নের উত্তর পেতে উভয় দেশের তদন্তকারীদের যথেষ্ট মাথা ঘামাতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনার। ১৩ মে বন্ধু গোপালের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তিনি এসএমএসে বলছিলেন দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে তাকে ফোন করবেন। পরে তার সঙ্গে ভিআইপিরা আছেন জানিয়ে ফোন না দিতে বলেন।

পরে ১৮ মে ভারতে নিখোঁজের জিডি করা হয়। ২২ মে ভারতের কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছে বলে জানায় কলকাতার সিআইডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

আর্কাইভ

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর

প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park