অনলাইন ডেস্কঃ এমপি আনারকে টুকরো করে কাটার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ‘কসাই’ জিহাদ
ভারতের কলকাতায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। প্রায় ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর সামনে আসে হত্যাকাণ্ডের খবর। এরপর থেকেই আসতে শুরু করেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারত ও বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনী সমন্বিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, হত্যার পর আনোয়ারুলের লাশকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়।
সম্প্রতি এমপি আনোয়ারুলকে খুনের পর টুকরো করা সেই ‘কসাই’ জিহাদকে কলকাতায় গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। শুক্রবার (২৪ মে) বারাসাত আদালতে তোলা হবে তাকে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গভীর রাতে সিআইডির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জিহাদ হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক। তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইতে বাস করতেন। তার আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনার দিঘলিয়া থানার বারাকপুরে।
বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক আখতারুজ্জামান জিহাদকে দুমাস আগে ভারতে নিয়ে আসেন। এরপর তিনি কলকাতায় থাকতেন। জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি জানায়, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে ওই ফ্ল্যাটে তিনিসহ আরও চারজন এমপি আনারকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার একটি খালের ধারে দেহাংশের খোঁজে তদন্তকারীরা।
সিআইডির ওই কর্মকর্তা বলছেন, হত্যার পর প্রথমে শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। এরপর মাংসগুলো আলাদা আলাদা টুকরো করা হয়। এগুলোকে খুব ছোট ছোট করে টুকরো করা হয়েছে— যাতে চেনা না যায়। এরপর মাংস-খণ্ডগুলো পলিথিনে ভরা হয়। পরে হাঁড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরো করা হয়।
জিহাদের দেওয়া তথ্যমতে— পলিথিনে ভরে হাঁড় ও মাংসের টুকরোগুলো বিভিন্নভাবে কলকাতার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ফেলে আসা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি ইতিমধ্যে পোলেরহাট থানার কৃষ্ণবাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। খালটি নিউটাউন এলাকার ওই ফ্ল্যাটে সামনে দিয়ে বয়ে গেছে। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলে সিআইডি জানিয়েছে।