নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকা থেকে এক কৃষককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র রাজপাড়া থানা পুলিশ।
গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে রাজপাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মো: লিটন (৩৪), আলাল উদ্দিন ড্যানি (৫০), মো: রতন আলী হিরা (৩৬) ও মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৭)। লিটন রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার আলীগঞ্জের শাহাজাহানের ছেলে, আলাল উদ্দিন একই থানার দাশপুকুর গ্রামের মৃত ছইরুদ্দিনের ছেলে, রতন আলী হিরা বুলনপুরের মৃত তিনকড়ির ছেলে ও জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কাশিয়াডাঙ্গা থানার গুড়িপাড়ার আমিরুল ইসলাম আমিরের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার তানোর থানার জনৈক আক্তার হোসেন জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে চার বছর পূর্বে রাজশাহীর আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি উক্ত শুনানির দিন ধার্য থাকায় সকাল ১০ টায় তিনি রাজশাহী কোর্টে আসেন। উকিলবারে মামলার বিষয়ে উকিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজশাহী কোর্টের গেটে আসলে আসামি ড্যানি ও জাহিদ ভয়ভীতি দেখিয়ে আক্তার হোসেনকে অটোরিকশায় উঠিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব হতে অবস্থান করা আসামি লিটন ও হিরাসহ সকলেই আক্তারকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে এবং ১২ শ’ টাকা কেড়ে নেয়।
আসামিরা আক্তার হোসেনের কাছে আরও ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর আসামিরা আক্তারের কাছ থেকে তার ছেলের মোবাইল নম্বর নিয়ে তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। আক্তার হোসেন এ সংক্রান্তে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে অপহরণ মামলা হয়। আরএমপি’র বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিভূতি ভূষন বানার্জী পিপিএম-সেবার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসানের দিকনির্দেশনায় রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল হকের নেতৃত্বে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বদিউজ্জামান, এসআই কাজল কুমার নন্দী ও তার টিম গত মঙ্গলবার রাতে রাজপাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে জানা যায়।
আসামিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, প্রতারণা ও মাদকসহ বিভিন্ন আইনে মামলা আছে। তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।