দুর্গাপুর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া আলীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৪০) কর্তৃক একছাত্রীকে নিয়ে পালানোর ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারী মাসের ৩০ তারিখে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু সেই শিক্ষকের স্ত্রী সাকিলা আক্তার তার স্বামী হারিয়ে গেছে মর্মে চলতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসের ৯ তারিখে থানায় একটি জিডি করেন। তবে বিষয়টি ছাত্রী এবং সেই শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে ধামাচাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া আলীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ঘটখালি গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী এবং ১৪ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। রফিকুল ইসলাম সেই মাদ্রাসায় ৬ বছর থেকে কর্মরত আছে। ঘটনার দিন দুপুর ২ টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় ছিলেন। মাদ্রাসা ছুটির পর সে চলে যায়। সেই দিন সেই মাদ্রাসার বিগত দিনের ছাত্রী (১৮) ও হারিয়ে যায়। সে সময় থেকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আলীপুর এলাকার একজন ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে গোপনে দফারফার চেষ্টা করছে বলে জানাগেছে। তবে এলাকাবাসী জানান, এই শিক্ষক মাদ্রাসার জন্য অযোগ্য। ইতিপূর্বেও সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অবৈধ্য সম্পর্কের ঘটনা ফাঁস হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে সাবধান করেছে। এ ঘটনায় সেই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছে স্থানীয় শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। শিক্ষক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাকিলা আক্তার জানান, আমার একটি ১৪ বছরের মেয়ে আছে। আমার স্বামী ৩০ তারিখ থেকে বাড়ি ফিরেনি। প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেলে আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমার ভাই আমাকে নিয়ে চলে আসে বাবার বাড়িতে। এখন পর্যন্ত সে এবং তার পরিবারের কেউ আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। এ ব্যাপারে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সাথে যোগযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। নওপাড়া আলীপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তালেব বলেন, রফিকুল ঘটনার দিনও দুপুর ২ টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় ছিলো। তারপর আমরাও শুনেছি যে একজন ছাত্রীকে নিয়ে সে পালিয়েছে। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি যে, আমাদের মাদ্রাসা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু রফিকুল ইসলাম একজন আরবির শিক্ষক হিসেবে এই কাজ করেছে এইটা আমাদের কাছে লজ্জার। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে তাকে দুই টা শোকজ পত্র প্রেরণ করছি। তবে তারাতারি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই আঃ রাজ্জাক জানান, শিক্ষকের স্ত্রী থানায় একটি হারানোর জিডি করেছে। কিন্তু ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন জিডি বা অভিযোগ করেনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুল হক জানান, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। আর সেই শিক্ষককে শো-কোজ করা হয়েছে। এবং তার বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply