আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অবশেষে নির্বাচনের ফল ঘোষণা সমাপ্ত করলো পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ২৬৪ আসনের মধ্যে ১০১টি আসন পেয়েছেন তারা। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সমর্থিত।পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) তথ্য অনুসারে, ২৬৪ আসনের মধ্যে স্বতন্ত্ররা পেয়েছেন ১০১টি আসন। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৫টি আসন। আর বিলাওয়াল ভূট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন।
এছাড়াও এমকিউএম দল পেয়েছে ১৭টি। আর বাকি ১৭টি আসন পেয়েছে অন্যান্যরা।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন ২৬৬। এর মধ্যে একটি আসনের প্রার্থী নির্বাচনের আগের দিন নিহত হওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে। আর বাকি আরেকটি আসনের ফল ভোটের পর বাতিল করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। স্থগিত আসনের ভোট আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসিপি।
ফল ঘোষণা করতে প্রায় তিনদিন সময় নিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। বিলম্বের কারণ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই কোয়েটায় দেশটির গণমাধ্যমকে বলেন, বেলুচিস্তানের বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ফল যৌক্তিক সমস্যার কারণেই বিলম্ব হয়েছে।
তিনি বলেন, যখন কিছু এলাকায় ঠান্ডা থাকে, তখন লজিস্টিক সমস্যার কারণে ফল আসতে দেরি হবে এটাই স্বাভাবিক। এমনকী নির্বাচন কমিশনও একই কথা বলেছে।
এদিকে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতেই আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলছেন, তার দলই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল। এই কারণে তিনি অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কারাবন্দী ইমরান খান ১৬তম সাধারণ নির্বাচনে তার দলের প্রার্থীরা এগিয়ে থাকায় তিনি তার ভেরিফায়েড এক্স (বর্তমানে টুইটার) অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন।
এক্সে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন যে তার দল পিটিআইয়ে ওপর শত দমন-পীড়ন চলা সত্ত্বেও তারা এই নির্বাচনে ‘নিরঙ্কুশ বিজয়’ অর্জন করেছেন।
তার দল সমর্থিত প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সেখানে নওয়াজ শরিফকে একজন ‘দুর্বল নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন যে পাকিস্তানি নাগরিকরা তাকে চায় না।