ক্রীড়া ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে গড়াতে চলেছে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ। ইতিহাসে প্রথমবার ৪৮ দলের অংশগ্রহণে আসরটিতে হবে ১০৪টি ম্যাচ। সবগুলো দল এখনও নির্ধারণ না হলেও বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনালসহ পুরো টুর্নামেন্টের ভেন্যু-সূচি প্রকাশ করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিফা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বের ম্যাচের সূচি ও ভেন্যু প্রকাশ করা হয়। ২০২৬ সালের ১১ জুন পর্দা উঠবে বিশ্বকাপের। উদ্বোধনী ম্যাচ হবে মেক্সিকো সিটির ঐতিহ্যবাহী আজতেকা স্টেডিয়ামে। এই ভেন্যুর চেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ড নেই কোনো স্টেডিয়ামের। ভেন্যুটিতে এ পর্যন্ত হয়েছে ১৭টি বিশ্বকাপ ম্যাচ। ২০২৬ বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হবে আরও ৫টি ম্যাচ। এর মধ্যে আছে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ।
আজতেকা স্টেডিয়ামে ১৯৭০ সালে পেলে জিতেছিলেন ব্রাজিলের তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি। আর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি। যুক্তরাষ্ট্রের হোম অব ফুটবলখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ১৯ জুলাই গড়াবে ফাইনাল মহারণ। ৮২ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনালসহ হবে বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের ম্যাচ চলবে ১১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত। শেষ ৩২ এর ম্যাচগুলো ২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত হবে। মেক্সিকোর গুয়াদালাহারা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া বাদে বাকি ১৪টি ভেন্যুতে হবে এই রাউন্ডের ম্যাচগুলো। এই রাউন্ডের দুটি করে ম্যাচ হবে লস অ্যাঞ্জেলস ও ডালাসে।
শেষ ১৬ রাউন্ডের খেলা চলবে ৪ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত। কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৯ থেকে ১১ জুলাই, চারটি ম্যাচের ভেন্যু লস অ্যাঞ্জেলস, কানসাস সিটি, মিয়ামি ও বোস্টন। সেমিফাইনাল দুটি হবে ডালাস ও আটলান্টায় ১৪ ও ১৫ জুলাই। মিয়ামিতে ১৮ জুলাই হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আর ১৯ জুলাই নিউজার্সিতে হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। সব মিলিয়ে তিন দেশের ১৬টি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো।
গ্রুপ পর্বের ১০ ম্যাচসহ ১৩টি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে কানাডার দুই শহর টরেন্টো ও ভ্যানকুবার। মেক্সিকোতেও হবে ১৩ ম্যাচ। মেক্সিকো সিটি, গুয়াদালাহারা ও মনেটেরিতে হবে খেলা। টুর্নামেন্টের বাকি ৭৮টি ম্যাচ মাঠে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে।
গতবছর ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের অফিসিয়াল লোগো এবং ব্র্যান্ডিং উন্মোচন করে ফিফা। সেই লোগোর বার্তা ‘আমরা ২৬’। যার অর্থ হলো পুনরায় সমবেত হওয়ার আকুতি। এটি এমন এক মুহূর্ত যেখানে তিনটি দেশ এবং পুরো মহাদেশ সমবেত কণ্ঠে বলছে, বিশ্বকে স্বাগত জানাতে আমরা এক।