স্টাফ রিপোর্টার- বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে মামুন হোসেন নামে এক কসাই কে হত্যা মামলায় ১ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বাঘা থানার পুলিশ আড়ানী পৌর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার কৃত ব্যক্তি হলো এক নম্বর আসামী মিজানুর রহমান খোকনের কর্মচারী মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম। মামুন হোসেন ও মিজানুর রহমান খোকন পরস্পর মামাতো-ফুফাতো ভাই। উভয়েই মাংস ব্যবসায়ী (কসাাই)।
জানা যায়, শনিবার সকালে মামুন হোসেন আড়ানী বাজারে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছিলেন। এ সময় একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে মিজানুর রহমান খোকনও পাশে মাংস বিক্রি করছিলেন। দু’জনের মধ্যে মাংস বিক্রি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খোকন ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। মামুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত শেষে রোববার জানাযার পর আড়ানী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মামুন হোসেন দুই সন্তানের জনক। বড় ছেলে মাহিম উদ্দিন স্থানীয় স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও ৪ বছরের ছোট মেয়ে মাহিমা খাতুন। স্ত্রী ময়না বেগম শোকে নির্বাক। মা আকলিকা বেওয়া আহাজারি করছেন আর ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।
এ ঘটনায় নিহত মামুনের বড় মামা বাদশা হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাগিনা মানিক হোসেন বাদি হয়ে শনিবার দিবাগত রাতে মিজানুর রহমান খোকনকে প্রধান আসামী করে বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় আবদুস সালামকে আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামুন হোসেনের ছোট ভাই মানিক হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই মামুন ও ফুফাতো ভাই মিজানুর রহমান খোকন যৌথ মালিকানায় মাংসের ব্যবসা করতেন। দুই মাস আগে তারা ব্যবসা আলাদা করেন। শনিবার দু’জন পাশাপাশি মাংস বিক্রি করছিলেন। খোকন ৭০০ এবং মামুন ৬৫০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে মাংস বিক্রি করছিলেন। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মামুনকে হত্যা করেন খোকন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply