নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে মটমটির বিলে নিয়ে এক নারীকে( ২৭) পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন বিজ্ঞ আদালতে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো: আবু হুরায়রা রোহান (১৮), মো: মনোয়ার হোসেন মুন্না(২৭) ও মো: জুনায়েদ ইসলাম (২০)। রোহান রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়ার মো: মতিউর রহমানের ছেলে, মুন্না একই এলাকায় মো: মনিরুল ইসলাম কানেডির ছেলে ও জুনায়েদ মো: আসাদুল ইসলামের ছেলে।
আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকার এক নারী রিকশা নিয়ে তার খালার বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমির সন্নিকটে পৌঁছালে সেখানে আসামি রোহান সেই নারীর সাথে কথা বলার নাম করে পাশেই মটমটির বিলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর আসামি রোহান তার অন্যান্য সহযোগীদের সংবাদ দেয়। তারাও গিয়ে সেই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং আসামি জুনায়েদ মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে । এরপর আসামিরা রাত ৮ টায় ঐ নারীকে মতিহার থানার বুধপাড়া আর.বি ফুড গ্যালারীতে জোর করে নিয়ে গিয়ে সেখানেও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে তার পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ১৩ জানুয়ারি দুপুর ২ টায় মোবাইল ফোন খোলা পেয়ে যোগাযোগ করে তাকে অসুস্থ অবস্থায় বুধপাড়া আর.বি ফুড গ্যালারির সামনে থেকে উদ্ধার করে। ঐ নারীর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৎসহ পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তীতে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মতিয়ার রহমান ও তাঁর টিম আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে আজ ১৪ জানুয়ারি (১৩ জানুয়ারি দিবাগত) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো: আবু হুরায়রা রোহান, মো: মনোয়ার হোসেন মুন্না ও মো: জুনায়েদ ইসলামকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামি রোহান ও জুনায়েদ এই ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানায় পুলিশ।