আজকের খবর নিউজ ডেস্ক:
ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে বাবার জানাজায় আনা হলো ছাত্রদল নেতাকে
প্যারোলে মুক্ত হলেও ডান্ডাবেড়ি নিয়েই বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন মো. নাজমুল মৃধা নামে এক ছাত্রদল নেতা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় ওই ছাত্রদল নেতাকে।
তবে বাবার লাশ দাফনে আগেই তাকে দ্রুত কারাগারে পাঠানো হয়।এর আগে বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন নাজমুল।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল মৃধা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, নাজমুলের বাবা মোতালেব হোসেন মৃধা (৬৭) নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার বাবার জানাজার নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টায় উপজেলার সুবিদখালী সরকারি র. ই. পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে থাকলেও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ওই সময়ের আগেই নাজমুলকে আলাদাভাবে নিজ বাড়িতে ছোট্ট পরিসরে জানাজায় অংশগ্রহণ করানো হয়। এরপর বাবার লাশ দাফনের আগেই তাকে আবার জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুরোটা সময় ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন নাজমুল। ওই ছাত্রদল নেতার বাবা মোতালেব মৃধাও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন বেশ কয়েক বছর।
আরও জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাজমুলকে। পরে বিস্ফোরক মামলার আসামি করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, নাজমুল এমন কোনো মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি না যে, তাকে বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আহসানুল্লাহ পিন্টু সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন ফরাজী, সাবেক সভাপতি আশ্রাফ আলী হাওলাদার ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. জাকারিয়া।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, পাঁচ ঘণ্টার জন্য শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদল নেতাকে জামিন দেন আদালত। নিরাপত্তার স্বার্থে তার পায়ের ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি।