নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৭ জানুয়ারী হয়ে গেলো বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এই ডামী নির্বাচনকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে হাস্যকর, প্রহসন ও অগ্রহনযোগ্য বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীতে ভোটারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন সম্পূর্নভাবে বর্জন করেছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। সরকারের এই পাতানো নির্বাচনে তারা সমর্থন না করে বিএনপি ও সমমনা ৬২ টি দল এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে সারা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডামী নির্বাচন বর্জন করায় ভোটারের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এরশাদ আলী ঈশা’র সভাপতিত্ব করেন। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এড. তোফাজ্জাল হোসেন তপু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সি. সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন,শফিকুল হক শাফিক, বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ গোলাম মোস্তফা মামুন ও রায়হানুল আলম রায়হান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেইসাথে এই অবৈধ ও ডামী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতাড়িত করে গণতান্ত্রীক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারেক জিয়া। মিনু বলেন, যে সকল দেশ এই ডামী সরকারকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণ বলে বিবৃতি দিয়েছে প্রকৃত সে সকল দেশে কোন গণতন্ত্র নাই। সে সকল দেশে চলে রাজতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র। এর মধ্যে রাশিয়া অন্যতম।
তিনি আরোও বলেন, এই ডামি নির্বাচনে জনগণ কেউ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ভোট কেন্দ্রে শুধুছিলো চতুসপদ জন্তু, জানোয়ার। দেশের প্রতিটি ভোটকেন্দ্র একই অবস্থা ছিলো। যেখানে এই নির্বাচনে ১০-১২ভাগ ভোটও পরেনি, সেখানে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন প্রায় বিয়াল্লিশ (৪১.৮) পার্সেন্ট ভোট কাষ্ট হয়েছে বলে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশবাসী মানেনা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণকে এই বাকশাল সরকারের কবল থেকে রক্ষা করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন।
বিএনপি ও সমমনা দল গুলো প্রহসনের ও এক তরফা এবং বানরের পিঠা ভাগাভাগীর নির্বাচন বলে তা বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি যে আহ্বান জানিয়ে ছিলেন জনগণ তা পালন করায় তিনি আবারও সকলকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে কঠোর আন্দোলনে অংশগ্রহন করার জন্য দেশবাসীসহ রাজশাহীবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা লিফলেঠ বিতরণ এবং সেইসাথে মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণ ও শুভেচ্ছা মিছিল করেন। মিছিল নিয়ে তাঁরা সাহেববাজার জিরো পয়েন্টসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাটার মোড়ে এসে শেষ করেন।
গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, গোদাগাড়ী পৌর বিএনপি সি. সহ-সভাপতি আব্দুল ওহাবসহ মহানগর বিএনপির সদস্য বৃন্দ।
আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটি রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন সরকার টিটু, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম কুসুম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, বর্তমান আহ্বায়ক মীর খালেদ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক।
এছাড়াও জিয়া পরিষদ মহানগরের আহ্বায়ক প্রফেসর আকতার, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এড. রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অ্যধ্যাপিকা সকিনা খাতুন, নারী নেত্রী এড. সিফাত জেরিন তুলি,মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনি ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকিসহ রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply