নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সাধুর মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০০ গ্রাম হিরোইনসহ এক মাদক-কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৫। তার নাম খালিদুজ্জামান ওরফে কাওসার। ওই মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসার পাশাপাশি একটি মসজিদেও ইমামতি করেন। বছরের পর বছর ধরে দিনি ইমামতি করছেন।
কাওসার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীনগর এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে। তার পিতা লোকমান হোসেন রানিনগর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে গোদাগাড়ী থানাধীন গোদাগাড়ী- কাঁকনহাট সড়কের সাধুরমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে খালিদুজ্জামান ওরফে কাওসার নামে এক মাদক-কারবারিকে গ্রেফতার করে। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি।
ওই আসামী অবৈধ হেরোইন অজ্ঞাত স্থান হতে গোপনে সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করার জন্য যাচ্ছিল। এসময় তাকে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করে ১০০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করে ।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় গ্রেফতারকৃত খালিদুজ্জামান কাউসার মহিশালবাড়ী শাহ সুলতান রহ. কামিল মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র ও গোদাগাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ী পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম। এই ইমামতির আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন হতে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিলেন। মাদক ব্যবসা করে শূন্য থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন। মসজিদ কমিটির সদস্যদের অবহিত না করে তিনি কখনও রাজশাহী, নাটোর, সিলেট, ঢাকা চলে যেতেন। মাসে মাসে হোন্ডা পরিবর্তন করতেন, সর্বশেষ সাড়ে তিন লাখ টাকার হোন্ডা ব্যবহার করেন।
১৫ বছর ধরে সে এখানে বসবাস করছেন। প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা ও খাতিজা খাতুনের বাড়ী ভাড়া থাকলেও বর্তমানে ১৫ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে জমি কিনে বাড়ী নির্মাণ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে তার ভাই গোদাগাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আলিপুর জামে মসজিদের খতিব ( ইমাম) মাদক সম্রাট মাও. মোঃ জাকির হোসেন ৩১০ গ্রাম হেরোইনসহ হাতেনাতে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।
জজকোর্টের অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালের ২২ মে বনপাড়া বাইপাসে যাত্রীবাহী বাস থেকে ৩১০ গ্রাম হেরোইনসহ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
সে ঘটনার পর থেকেই কারাগারে রয়েছে। পরে মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও প্রমাণ শেষে জাকির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছে। তারা পারিবারিকভাবে মাদক কারবারের জড়িত।