নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী-৬(চারঘাট-বাঘা) আসনে এবার জমজমাট ভোটযুদ্ধ হবে বলে ধারনা ভোটারদের। বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নৌকা নিয়ে জয়ী হন বর্তমান সাংসদ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আওয়ালীগ প্রার্থী শাহরিয়ার আলম। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দী সাবেক সাংসদ ও প্রবিন আওমীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহেনুল হক রায়হান। স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষনার পর থেকেই তার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। এছাড়াও দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে তার পক্ষ নিয়েছেন । কেউ কেউ আড়ালে থেকে রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও আভাস পাওয়া গেছে।
প্রতিক প্রাপ্তির পর থেকেই আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন দলিয় নেতাকর্মিরা। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিতে ভেদাভেদ ভুলে নৌকার জন্য কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। দফায় দফায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীদের সঙ্গে করছেন নির্বাচনি বৈঠক।
নৌকার সমর্থকদের দাবি, চারঘাট বাঘার ইতিহাসের সেরা একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ শাহরিয়ার আলম। সব শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। আসনটিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মত বিজয়ী হয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে শাহরিয়ার আলমের সব ধরনের রসদ রয়েছে বলে বিশ্বাস তাদের।
সমর্থকরা আরও বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অবহেলিত জনপদের ভাগ্যন্নয়নের জন্য নিজেকে মেলে ধরেন শাহরিয়ার আলম। তার কর্ম দক্ষতা, ও সততায় মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তার অভূতপুর্ব উন্নয়নের জন্যই তিন তিন বার বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছেন । দুই দুইবার সফলভাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত পনের বছর নির্বাচনি এলাকার মানুষের সুখ দুখে পাশে ছিলেন শাহরিয়ার আলম। তার প্রচেষ্টায় বিগত পনের বছরে এ জনপদের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অভাবনীয়। ফলে দল এবং দলের বাইরেও সাধারণ ভোটাররা নৌকার পক্ষে মাঠে নামবেন বলে আশা করছেন সমর্থকরা।
অপরদিকে রায়হান সমর্থকরা ভাবছেন, গত তিনটি নির্বাচনেও এই আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পান শাহরিয়ার আলম। তিনি নির্বাচনে জিতে বেশিরভাগ সময় এলাকার বাইরে থাকার কারনে এবং ত্যাগী নেতাকর্মিদের মুল্যায়ন না করে জামাত বিএনপি নির্ভর আওয়ামিলীগ সৃষ্টি করায় তৃনমুল আওয়ামীলীগ তাকে প্রত্যাখান করেছেন। বিগত পনের বছরে এই আসনের সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নে সিমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। যে কারনে জনগন বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ালীগের ত্যাগী নেতা রাহেনুল হক রায়হানের পক্ষ নিয়ে কাঁচি মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।
এ আসনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, জাসদের প্রার্থী জুলফিকার মান্নান জামী (মশাল), এনপিপির মহসিন আলী (আম), জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন রিন্টু (লাঙল) ও বিএনএমের আবদুস সামাদ (নোঙর) প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর
Leave a Reply