স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীর বাঘায় প্রানী সম্পদ অফিসের এফ. এ. (এআই) কর্মী সোহেল রহমানের বিরুদ্ধে চিকিৎসার পর
গরুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ন্যায়বিচার পেতে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হেদাতিপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে তারেক রহমান।
অভিযোগ এবং বাদির মৌখিক বর্ণনা সূত্রে জানা যায়, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অনেক কষ্টে ঋন ধারে দুটি গাভি গরু ক্রয় করে পালন করছেন কৃষক তারেক রহমান। একটি গাভীর অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এফ.এ. এ/আই কর্মী সোহেল রহমানকে সংবাদ দেন। সোহেল রহমান তারেকের বাসায় গিয়ে গাভির ( ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা) গর্ভকালীন জটিলতা আছে বলে জানান। গাভীর চিকিৎসা দিতে হবে। এজন্য ২৫০০ মত টাকা খরচ হবে। তখন তারেক এক হাজার টাকার মধ্যে চিকিৎসা দিতে বলেন। এরপর সোহেল রহমান গরুকে দুইটা ইনজেকশন পুশ করে এক হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। চিকিৎসার পর থেকে গরুর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে তারেক রহমান চিকিৎসা দানকারী সোহেল কে বারবার ফোনে বিষয়টি অবগত করেন। কিন্তু সোহেল রহমান বলেন, আমি রাজশাহী আছি, যেতে পারব না। অন্য একটি ডাক্তার দিয়ে দেখান । এরপর শনিবার দিবা গত রাতে রোববার ভোরে ( ১৭ সেপ্টেম্বর ) গরু টি মারা যায়। প্রায় দুই লক্ষ টাকা দামের গরুর মৃত্যুতে গরীব কৃষক তারেক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিষয় টি নিয়ে এলাকায় মানুষের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতি পূরন প্রার্থনা করে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আক্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তারেক।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহেল রহমান বলেন, আমি চিকিৎসা দিয়েছি ভি এস স্যারের নির্দেশনায়। ভিজিট নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ২৫০০ টাকা আমি চাইনি । আমি চিকিৎসা দিয়ে এক হাজার টাকা নিয়েছি।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা: শরিফুল ইসলাম বলেন,
সোহেল পশু চিকিৎসক নয়। সে ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট এ আই কর্মী। অনেক সময় আমরা না থাকলে সে যায়। আমাকে এই গরু সম্পর্কে জানিয়েছে। পরে আমার পরামর্শে সে ইনকেজশন পুশ করে। গরুটি মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত গরুর স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। এটি পরিক্ষাগারে পাঠানো হবে। রির্পোট আসার পরেই জানা যাবে কি কারনে এটি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার শারমিন আখতার জানান, চিকিৎসার পরে গরুর মৃত্যু হয়েছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।