আ.খবর নিউজ ডেস্ক:
সাত বছরের কন্যাশিশু আদিবার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। তার প্লাটিলেট কমে গেছে। মেয়ের এমন অবস্থায় বাবা দৌলত হোসেন ও মা সাথী আকতার পাগলপ্রায়। তাই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান তারা। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন মুগদা থানা হাজতে দৌলত হোসেন। স্বামীকে ছাড়াতে শিশুটির মা থানায় ধরনা দিচ্ছেন।
শিশু আদিবার বাবা-মা অভিযোগ করেন, উত্তর মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকার বাসা থেকে বুধবার সকাল ৬টায় মেয়েকে চিকিৎসা করাতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি আমিন কথা না বলে হাতের ইশারায় অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দৌলত হোসেনকে চলে যেতে বলেন। তখন শিশু আদিবা অসুস্থতায় কাতরাচ্ছিল।
হাতের ইশারায় কী বলেছেন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক উত্তেজিত হয়ে বলেন ‘তোকে না বলছি হাসপাতালে সিট নেই চলে যেতে’। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির মধ্যে দৌলত হোসেনকে চড় মারেন ওই চিকিৎসক। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে এক ওয়ার্ডবয় এসে দৌলত হোসেনকে জাপটে ধরেন আর ওই চিকিৎসক মারতে থাকেন। এ সময় স্ত্রী সাথী দৌলতকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করেন ওই চিকিৎসক ও ওয়ার্ডবয়। পরে দৌলত হোসেনকে মুগদা থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাথী আকতার কান্নাকাটি করে বলেন, ‘অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে এখন আমার স্বামী জেলে। আমার মেয়েকে চিকিৎসা না নিয়ে বাসায় রেখে স্বামীকে ছাড়াতে আসছি। বুকের দুধ খাওয়া দুই বছরের আরেক শিশুকে ঘরে রেখে এসেছি। এখন আমি মেয়েকে কোথায় চিকিৎসা করাতে যাব, কী করব?’
মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন, মুগদা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. বনি আমিনকে গালাগাল, মারধর ও দরজা ভাঙার অভিযোগে দৌলতকে আসামি করে তিনি বাদী হয়ে মুগদা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দৌলতকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. নিয়াতুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে এসএমএস পাঠান এই প্রতিবেদক। ফিরতি এসএমএসে পরিচালক জানান, তিনি ডিজি অফিসের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথা বলছেন। অনেক্ষণ অপেক্ষা করেও রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিচালকের আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। সূত্র: যুগান্তর