নিজস্ব সংবাদদাতা-রাজশাহীঃরাজশাহীর বাঘায় আফতাব উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার খানপুর এলাকার মৃতঃ কৈয়ব আলীর ছেলে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কর্তৃক আদালতে ভূল তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন প্রেরনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি “শাজাহান” ও তার পরিবার। ১০ জুন (শনিবার) দুপুর ১২টার সময় বাঘা মডেল প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ১৫/১৬জন গ্রামবাসিসহ উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী শাজাহান আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বাঘা উপজেলার ২নং গড়গড়ি ইউপির খানপুর মৌজায় আমরা নিচে বসতঘর এবং উপরে টিনসেড বিশিষ্ট ২য় তলায় ৪টি দোকান ঘর নির্মান করে দোকানঘর ভাড়া দিয়ে ২০ বছরের অনেক উর্ধকাল যাবত প্রতিপক্ষগনের জ্ঞাতসারে নির্বিবাদে ভোগ দখল করছি।এমতাবস্থায় আকস্ষিক কাল বৈশাখী ঝড়ে আমাদের হক দখলীয় নিম্ন তপশীল বর্ণিত সম্পত্তির উপর নির্মিত টিনসেডের চালা (টিন) উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তা মেরামত করতে গেলে প্রতিপক্ষ আফতাব আলী ও তার সঙ্গীয় ৩/৪ জন গত ২/১২/২০২২ তারিখ অনুমান সকাল ১০.০০ টার সময় তফসিল বর্ণিত দোকান ঘর ও বাড়ীর ভিতর অনধিকার প্রবেশ করে দোকান ঘর মেরামতে বাধাসহ বাড়ীঘর ভাঙ্গিয়া ফেলে ভোগদখলী সম্পত্তি থেকে আমাদের বেদখল করবার হুমকি প্রদান করেন। এইভাবে ক্রমাগত প্রতিপক্ষগন উক্ত সম্পত্তিতে জোর পূর্বক অনুপ্রবেশ করে আমাদের বেদখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে ভয়ভীতি ও উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে গত ২৭/১২/২০২২ তারিখে আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হয় । উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত নালিশী সম্পত্তি আমাদের ভোগ দখলে আছে কিনা তা তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)-বাঘা কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভূমি)-বাঘা, ছুটিতে থাকায় তদন্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার।
ইউএনও সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, তা ভূল,মিথ্যা, এবং পক্ষপাতমুলক।
তিনি তাঁর প্রেরিত প্রতিবেদনে লিখেছেন, নালিশী সম্পত্তি আমাদের ভোগ দখলে নাই এবং দোকানঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। কিন্তু আপনারা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখেন, প্রকৃত সত্য হলো, বিগত ৪০/৪৫ বছর থেকে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ভোগ দখলে আছে।
আপনাদের নিকট আমাদের আকুল আবেদন, উপরে বর্ণিত কারনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রতিপক্ষগন যাতে
নালিশী সম্পত্তিতে বেআইনী ভাবে অনুপ্রবেশ করে আমাদের শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে বা বাড়ী ঘর ভাঙ্গিয়া উচ্ছেদের কারন ঘটাইতে না পারে সে জন্য আপনারা প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানপূর্বক প্রকাশ করে আমাদের কে আইনিসেবা প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন।
বর্নিত সম্পত্তির বিবরন:
জেলা রাজশাহী, থানা বাঘা, মৌজা খানপুর, জে.এল নং-১৮৭ মধ্যে
আর,এস খং নং
৩৪,৫১, ৭২, ৭৬
বি,এস খং-নং-২২
আরএস দাগ নং২৪৫,২৪৬
বি,এস দাগ নং- ৩২৪,৩২৫
রকম দোকান বাড়ী,
পরিমান.০১৮১ একর .০৬০০ একর সর্বমোট.০৭৮১একর।
চৌহদ্দীঃ পূর্বে-কেপার, পশ্চিমে-আজাহার, উত্তরে সরকারী পাকা রাস্তা, দক্ষিনে-কেপার দিং।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আফতার আলির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই সম্পত্তিতে আমাদের ভাগ আছে। এটা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। এ সময় সরেজমিনে দোকানঘর ও বাড়ির ছবি তুলতে গেলে তার ( আফতাব) মেজ ছেলে আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা প্রদানসহ হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে (সরকারি নম্বর ) একাধিকবার কল করে রিসিভ না হওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।