1. admin@doinikajkerkhabor.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাঘায় নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন ‎ চেয়ারম্যান থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে: তারেক রহমান পাকিস্তানকে উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন সংস্কারে প্রস্তাবনা জমা ‌দিয়েছে বিএনপি স্ত্রীর শাড়ি ছুড়ে ফেলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান রিজভীর বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর ৫ বছরে ৫ কোটি গাছ লাগাতে চান তারেক রহমান মানুষ এখন অনেক সচেতন, সামনে নির্বাচন এত সহজ হবে না: তারেক রহমান আড়ানী স্টেশন এলাকার রেলওয়ের সম্পত্তিতে থাকা দোকান উচ্ছেদ

৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা: ‘আল্লাহ জন বুঝে ধন দেয়’

দৈনিক আজকের খবর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া যখন গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেয় তখন আমি একটা কথা বলেছিলাম, ‘আল্লাহ জন বুঝে ধন দেয়। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে গ্যাস একটুও পাবে না, কাউকে দিতেও পারবে না।’ সত্যিই কিন্তু দিতে পারে নাই। যে কয়টা কূপ খনন করেছে সবগুলো শুকনা, কোনো গ্যাস পায়নি। যারা কিনতে চেয়েছিল তারাও নিতে পারেনি।

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (৭ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটের অধিকারের কথা বলে। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিল, কত ভোট পড়েছিল? ২-৩ শতাংশ ভোটও পড়েনি। অথচ ঘোষণা দিলেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণ এখন তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোট চুরি করেছিল বলেই দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছিল, আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে। ভোট চুরি যারা করেছিল তাদের মুখে যখন ভোটের কথা শুনি, গণতন্ত্রের কথা শুনি, মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে বের হওয়া রাজনৈতিক দলের কাছে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। তাদের পারদর্শিতা কী এ দেশের মানুষ দেখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছিল। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ সবসময়ই জয়ী হয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয় নাই। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোটে এসেছে, তার বাইরে কোনোভাবে ক্ষমতায় আসে নাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে তারা বলে ভোটারবিহীন, কে ভোটার বিহীন? ভোটারবিহীন তো ছিল খালেদা জিয়া, ভোটারবিহীন ছিল জিয়াউর রহমান, ভোটারবিহীন ছিল এরশাদ, এটা তারা ভুলে গেছে? তারা তো ভোটারবিহীন হিসেবে ক্ষমতা দখল করেছে। ২০০১ সালে আমাদের সম্পদ গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি। কই আমি তো বলি নাই? আমি বলেছিলাম দেশের সম্পদ দেশের মানুষ ব্যবহার করবে, আগে তাদের স্বার্থ দেখবো, তাদের জন্য আমরা গ্যাস ব্যয় করব।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আন্দোলন করবে, সংগ্রাম করবে, আমাদের উৎখাত করবে (বলছে)। একদিকে ভালো হয়েছে, এখন যদি জ্বালাও-পোড়াও করে, এখন যদি অগ্নিসন্ত্রাস করে, এখন যদি মানুষ খুন করে, আমেরিকার ভিসা পাবে না। যাদের কথায় নাচে, তারাই খাবে, আমাদের কিছু করা লাগবে না। ওটা (ভিসানীতি) নিয়ে আমাদের চিন্তার কিছু নাই।

তিনি বলেন, তারা কিছু লোক জোগাড় করে আন্দোলন করবে, করতে দাও। আমি বলে দিয়েছি, যত আন্দোলন করার করুক, আমি কিছু বলব না। নজর রাখতে হবে যে, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ বা তার পরবর্তী সময়ে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, হাত পা কেটেছে, সেটা যেন করতে না পারে। নিজের চোখ ক্যামেরা সবসময় ঠিক রাখতে হবে। কারণ ওদের ওই দোষ আছে তো, একটা উসকানি দিয়ে ছবি তুলে বাইরের দেশের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকবে। জনগণের ক্ষমতায় তারা বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে অন্যকেউ নাগরদোলায় এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কেউ বসিয়ে দেবে না। দেয় না কখনো। ব্যবহার করবে, ক্ষমতা দেবে না। এগুলো বাস্তব কথা।

সরকারপ্রধান বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, দুর্ভাগ্য আমাদের, করোনাভাইরাস, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ তিনটা বছর সবকিছু বন্ধ ছিল, অর্থনীতির চাকা স্থবির ছিল, উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি, পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, স্যাংশন পাল্টা স্যাংশনে প্রত্যকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এ জাহাজে এলো কেন? ওই জাহাজে এলো কেন, এটা ভিড়তে দেবে না-ওটা ভিড়তে দেবে না, শুধু দেশের ওপর স্যাংশন নয়, জাহাজের ওপরেও স্যাংশন দিয়ে বসে আছে আমেরিকা। ফলে প্রত্যেকটা দেশে আজকে মুদ্রাস্ফীতি।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি, তারপরও আমরা বারবার চেষ্টা করছি মানুষের কষ্ট কীভাবে কমানো যায়। এই কষ্ট শুধু আমাদের একার নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। বৈশ্বিক কারণেই কষ্ট। বাংলাদেশকে আমরা সুন্দরভাবে রেখেছিলাম, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছিলাম, মানুষের খাবার আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি যতই চাপ শোনান না কেন, সেই চাপের কাছে বাংলাদেশিরা নতি স্বীকার করে না। আমাদেরে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আমরা সুরক্ষিত করব। আমরা এ দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র এনেছি। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে বলে আজকে বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে। আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে।

বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপরও খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। পাশাপাশি আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করে থাকব না। আমরা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এই ডিজিটাল ডিভাইস আমরা তৈরি করব। ইতোমধ্যে অনেক বিনিয়োগ আসছে। একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ আসছে। আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস এগুলো উৎপাদন করে আমরা রপ্তানি করব।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী আছে, যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন। বুদ্ধিজীবী। আমি বিদ্যুৎ দিয়েছি, তারা এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে বক্তৃতা দেয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নেয়। প্রাইভেট টেলিভিশনও আওয়ামী লীগ সরকারই দিয়েছে। সেই টেলিভিশনের টক শোতে এসে আলোচনা করে- এই বাজেট আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কার্যকর করতে পারবে না। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, করতে পারব সেটা বুঝে শুনে আমরা বাজেট দিয়েছি। আমরা যা দিয়েছি আমরা তা করতে পারব।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেওয়া বিদ্যুতে, ইন্টারনেটে, এসিরুমে বসে আমাদেরই সমালোচনা করা হয়। আমরা জানি কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখন কোন কথা বলতে হয়। ১০-১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির (বিদ্যুৎ) উন্নতি হবে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কষ্ট বুঝতে পারছি আমরা।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

আর্কাইভ

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দৈনিক আজকের খবর

প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park