প্রতিকী ছবি
দুর্গাপুর( নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে বিজিবির গুলিতে আমিনুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া জাইদুল ইসলাম (৩৮) নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওইদিন সন্ধ্যায় সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের বারমারি-লক্ষ্মীপুর গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বিজিবি সদস্য প্রসিন্ত মারাকের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের ইদ্রিস আলী ও আব্দুল মালেক জানান, তারাবি নামাজ চলাকালে হঠাৎ দুইটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। নামাজ শেষে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা বাধা দেন। পরে দেখি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জাইদুলকে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি সদস্যরা পুরো গ্রাম ঘিরে রেখে ঘটনাস্থল থেকে নিহত আমিনুল ইসলামের লাশ দুর্গাপুর হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তী জানা যায় বিজিবির গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ জাইদুল ইসলামকে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
অপরদিকে বারমারি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. মিনহাজ উদ্দিনকে (৫৩) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বারমারি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আইনুল হকের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
নিহতের মা কুলসুমা খাতুন বলেন, আমার ছেলে দিন মজুরের কাজ করে, ওই এলাকার সুপারি ব্যবসায়ীরা তাকে বর্ডারের কাছে সুপারির বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে বলে। ওই সময় বিজিবি সদস্যরা কোনো কিছু না বলেই প্রথমে তাকে মারধোর করে। পরে প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা সিইও লে. কর্নেল মো. আরিফুর রহমান বলেন, রাতে বর্ডারে চোরাই মাল পাচার হচ্ছে শুনে বিজিবি জওয়ানরা সীমান্তে টহল জোরদার করে। ওই সময় ওই চোরাকারবারিরা আমাদের জওয়ানদের ওপর হামলা চালালে এক জওয়ান গুরুতর আহত হয়। পরে আত্মরক্ষায় ২ রাউন্ড গুলি চালায় জওয়ানরা।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত লাশ পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে।