রাজশাহী প্রতিনিধি :রাজশাহীর বাঘায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে দুই বছর চার মাস থেকে বরখাস্ত করে রেখেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি । এতে করে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন বরখাস্ত হওয়া ওই প্রধান শিক্ষক। ছয় মাসের বেশি কোন শিক্ষককে বরখাস্ত না রাখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও সেটির তোয়াক্কা না করে গত ২৮ মাস ধরে
তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা হয়েছে ।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, চেক জালিয়াতি মামলায় জড়ানোর অভিযোগে উপজেলার আড়ানি ইউপির খোর্দ্দ বাউসা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মশিউর রহমান কে সাময়িক বরখাস্ত করেন তৎকালীন কমিটির সভাপতি মুক্তার হোসেন। ১৫ অক্টোবর ২০২০ সালে এ বরখাস্তাদেশ দেয়া হয় । শুধু তাইনা, এমপিওভুক্ত ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উক্ত হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর লতিফ এ প্রতিবেদককে বলেন,
অর্থ আত্মসাত, চেক জালিয়াতি মামলায় জড়ানোসহ নানাবিধ কারনে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা তাঁকে যোগদানের জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি যোগদান করেন নি।
প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, কিছু অভিযোগ উত্থাপন করে আমাকে বরখাস্ত করে তৎকালীন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তার হোসেন। পরে তার জামাতা আড়ানি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রিমন হোসেন বাপ্পি সভাপতি হয়। আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিথ অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি হওয়ার পর সভাপতি বরাবর প্রধান শিক্ষকের পদে আমাকে পুনর্বহাল ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে লিখিতভাবে অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি আমার আবেদন আমলে নিচ্ছেন না। বরঞ্চ বিদ্যালয়ে নুতন করে চারটি পদে চাকুরী দেবার প্রক্রিয়া করছেন।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিবন আহম্মেদ বাপ্পি কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কথা ফোনে জিঙ্গেস করছেন কেন? কিছু জানার থাকলে সামনাসামনি আসেন। আর উনি বহিষ্কার হয়েছে কেন সেটা উনাকেই জিঙ্গাসা করেন। তার বিরুদ্ধে চেকের মামলা সহ আরও অভিযোগ আছে, বলেই সংযোগটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ফ.ম হাসান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। এখন জানলাম। বিষয়টি আমি দেখব।