নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের কমতি নেই নেতাকর্মীদের মাঝে। প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে চলে নানা প্রস্তুতি। আবশেষ সেই বরণের প্রহর শেষে রোববার রাজশাহীর জনসভায় আসেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার সভাস্থলে হাজার হাজার নারী কর্মীরাও ব্যাপক উৎসাহের মধ্যে দিয়ে সভাস্থলে যোগ দেন। সভায় নরীরা নানান রঙ্গে শাড়ী ও ক্যাপ পড়ে সভায় যোগ দিয়েছেন। সবুজ, কমলা, লাল, নীল শাড়ী ও ক্যাপ পড়ে সজ্জিত হয়ে যায় পুরো রাজশাহী নগরী।
এদিকে সাতটি অঞ্চল থেকে সাতটি স্পেশাল ট্রেন যোগে জনসভায় যোগ দিতে আসেন নানা বয়সের নারী পুরুষ।তারার নিজ এলাকার এমপি ও নেতাদের দেয়া ক্যাপ,টিশার্ট ও নানা রং-বেরংয়ের শাড়ী পড়ে মেয়েরাও আসেন সভায় যোগ দিতে।
লাল সবুজসহ বাহারী রংয়ের সমাহারে সজ্জিত পুরো নগরী। নাটোরের এমপি শিমুলের ভাড়া করা স্পেশাল ট্রেনটি ছিলো লোকে লোকারন্য। ট্রেনটির ১৫ টি কোচে ঠাসা-ঠাসির পরও ট্রেন টির ছাদ ছিলো পরিপূর্ণ।
এছাড়া এমপি মুন্নার সিরাজগঞ্জ থেকে ভাড়াকরা সিরাজগঞ্জ স্পেশাল,পাবনা থেকে পাবনা স্পেশাল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চাঁপাই স্পেশালসহ ৭ টি স্পেশাল ট্রেনে ছিলো একই দৃশ্য। এছাড়া সড়ক পথেও ছিলো উপচে পড়া জনস্রোত। তীল ধারনের ঠাঁই ছিলোনা সভাস্থলসহ নগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে।
বিভিন্ন বয়সের নেতাকর্মীরা মাথায় ফিতা, টিশার্ট ও ক্যাপ পড়ে গানের তালে তালে প্রবেশ করেন মাঠে। মাঠের ভেতরে কর্মীদের উচ্ছ্বাসিত রাখতে পরিবেশন করা হচ্ছে সংগীত। প্রখ্যাত বাউল শিল্পী শফি মন্ডল গানে গেয়ে মাঠে আনন্দের জোয়ারে ভেসে উঠে জনস্রত।
গান আর নানান রঙে পোষাক রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভার এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।