প্রতীকী ছবি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় হামেদ আলী ( ৫০) নামের এক ৪ সন্তানের পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশি তিন সন্তানের মাতা এক গৃহবধু (৪৫) বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি ) বাদি হয়ে থানায় ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত হামেদ আলী উপজেলার ঢাকা চন্দ্রগাতি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ তমিজ উদ্দীনের ছেলে।
গৃহবধুর অভিযোগসূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রান্নার কাজ শেষে বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে টিউবওয়েলে যান। এ সময় তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া প্রতিবেশি হামেদ আলী তাকে একা পেয়ে জাটপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে প্রবেশ করলে হামেদ তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধু স্থানীয়ভাবে বিচার দাবি করে বিচার না পেয়ে থানায় এসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে গৃহবধুর স্বামী (চা বিক্রেতা ) মাজেদ আলী জানান, এদিন দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরে নিজ বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে টিউবওয়েলে তাদের একত্রে দেখতে পায়। এ সময় তাদের নিকট যেতেই হামেদ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তাকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, তাদের দুজনের পরস্পরের মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের কারনে রাতের আঁধারে বাড়ির পার্শ্বে দেখা করতে এসেছিল। এ সময় তার স্বামী দেখে ফেলে। গৃহবধুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং আবদুল হামেদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হামেদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী খেটে খাওয়া মানুষ। সারাদিন পরিশ্রমের পর রাতে ঘুমিয়েছিলো। বুধবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ আশিক,শাকিব, রুবেল, মানিকসহ ১৫/২০ জন আমার বাড়িতে হামলা করে এবং বলে তোর স্বামী কোথায়? ওকে বের করে দে। এর কিছুক্ষণ পর ওই মেয়ে বাড়িতে আসে এবং বলে আমি তোর স্বামীকে বিয়ে করব। তোর স্বামীর কারনে আমার স্বামী আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিছে? এ সময় প্রান ও মান বাঁচাতে আমার স্বামী পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অন্যরা চলে গেলেও ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে থেকে যাই। পরদিন (বৃহষ্পতিবার) বেলা বারটার দিকে ওই মেয়ের ভাই তপু মন্ডল তাকে নিয়ে যাই। হামেদের স্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে আমার স্বামী কিছুই জানেনা। আমার স্বামীকে প্রতিহিংসামুলকভাবে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী প্রমানিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।